ভিডিও

উত্তাল শেকৃবি : স্লোগানে প্রকম্পিত শাবিপ্রবি , রাস্তায় শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০১:০০ রাত
আপডেট: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০২:৩৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) ক্যাম্পাস।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত ১১টার দিকে বিভিন্ন হল থেকে ‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে রাস্তায় নেমে আসেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন হল শেখ লুৎফর রহমান হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’, ‘এই বাংলার মাটি- রাজাকারের ঘাঁটি’, ‘শেরেবাংলার মাটি, রাজাকারের ঘাঁটি’, ‘চাইলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’- ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, তারা ন্যায্য অধিকারের দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তাদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে সম্বোধন করেছেন, যা শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের জন্য লজ্জার। তারা এ বক্তব্যের প্রতিবাদে মধ্যরাতে হল ছেড়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন। 
স্লোগানে প্রকম্পিত শাবিপ্রবি
‘তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উক্তি ঘিরে এ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৪ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলে এ স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি ছাত্রীদের আবাসিক হলগুলোতেও এ স্লোগান দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে।


সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের চারটি ব্লকের শিক্ষার্থীরা হঠাৎ বের হয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে হল। সৈয়দ মুজতবা আলী হল থেকে বড় একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়ে স্লোগান দেয় এবং তাদের মিছিলে যোগ দিতে ‘রাজাকার বের হ, রাজাকার বের হ’ বলে স্লোগান দেয়।
পরে মিছিলটি শাহপরান হলের সামনে দিয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে চায়। এসময় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হলের সামনে অবস্থান নেন।
একদিকে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ আর অন্যদিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের শাহপরান হলের সামনে অবস্থান দেখে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা সামনে না এগিয়ে সেখানে থেকে চলে যান।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS